আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী

নিরাপত্তার অভাবে অভিবাসী হচ্ছেন উদ্যোক্তারা

আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা। সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী ও চট্টগ্রাম বিএনপির সভাপতি। হলমার্ক কেলেঙ্কারি শেয়ারবাজারে ধস, কোম্পানি আইন সংশোধন, সরকারের আর্থিক ব্যবস্থাপনা আগামী নির্বাচনসহ নানা বিষয়ে সম্প্রতি কথা বলেন বণিক বার্তার সঙ্গে। সাক্ষাত্কার নিয়েছেন মিজানুর রহমান হেলাল

চলমান রাজনৈতিক অবস্থা দেশের ব্যবসা-বাণিজ্যের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে বলে মনে করেন কি?

চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি স্বাভাবিকভাবে ব্যবসা-বাণিজ্যের ওপর প্রভাব ফেলছে। মানুষ এখন নিজেদের ব্যবসা-বাণিজ্য নিয়ে দুশ্চিন্তাগ্রস্ত। সরকার সবকিছু অবজ্ঞা করে একলা চলতে চাইছে শুধু ক্ষমতা ধরে রাখার জন্য। এটা মানুষ গ্রহণ করবে না। এতে দেশের ভেতর অশান্ত পরিবেশ সৃষ্টি হবে। এর দায়দায়িত্ব কে নেবে? এখন বিনিয়োগ হচ্ছে না। সবাই অপেক্ষা করছেন আগামী দিনে কী হয় তা দেখার জন্য। অনেকে অভিবাসী হচ্ছেন। এরই মধ্যে অনেক অর্থ দেশের বাইরে চলে গেছে। অনেকে বিনিয়োগ করছেন বিদেশে। নিরাপত্তাহীনতার কারণেই এটি করছেন তারা। এ পরিস্থিতির দায়দায়িত্ব সরকারকেই নিতে হবে। বেসরকারি বিনিয়োগব্যবস্থাকে আজ বিপদে ফেলে দেয়া হয়েছে। দলীয় লোক বসিয়ে কুইক রেন্টালের মাধ্যমে লুটপাটের সুযোগ সৃষ্টি করে দিয়েছে বর্তমান সরকার। বিদ্যুতের দাম বাড়িয়ে যেখানে নিয়ে যাওয়া হয়েছে, তাতে উদ্যোক্তা থেকে সাধারণ মানুষ সবাই ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। রাষ্ট্রের তহবিল থেকে রক্তক্ষরণ হয়েছে। সরকার একদিকে ব্যাংক থেকে মাত্রাতিরিক্ত ঋণ নিয়ে প্রাইভেট সেক্টরের বিনিয়োগ বাধাগ্রস্ত করছে, অন্যদিকে অবকাঠামোগত উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। বেহাল সড়ক যোগাযোগব্যবস্থা। রেল ও নৌ-যোগাযোগের অবস্থাও সঙ্গীন। কারণ সরকার এখানে বিনিয়োগ করতে পারছে না, মেরামত করতে পারছে না। জ্বালানি তেল আমদানির যে ব্যবস্থা করেছে সরকার, তাতে বৈদেশিক মুদ্রার বিপরীতে টাকার অবমূল্যায়ন ঘটছে। তারল্য সংকটের কারণে ব্যাংকঋণের সুদের হার ২০ শতাংশ পর্যন্ত চলে গেছে। এ সুদে ঋণ নিয়ে বিনিয়োগ করে কেউ লাভবান হতে পারবেন না। নির্দিষ্ট করে বললে, পাবলিক ফিন্যান্সের দুরবস্থা চলছে। এটা রিকভার করতে অনেক সময় লেগে যাবে। এটা রিকভারের পথ নেই। সরকার এখনো কুইক রেন্টালের মেয়াদ বাড়িয়ে বোঝা আরও বাড়াচ্ছে। গত ২০ বছরে সামষ্টিক অর্থনীতি (ম্যাক্রো ইকোনমিক) যে স্থিতিশীলতা এসেছিল, বর্তমান সরকার এখন তা বিপর্যস্ত করে ফেলছে। এটা বড় অশনিসংকেত। প্রতিযোগিতা সক্ষমতায় পিছিয়েছে বাংলাদেশ বিনিয়োগের তালিকায়ও আমরা নিচে নেমে গেছি। বিনিয়োগ আকর্ষণে দক্ষতার পরিচয় দিতে পারেনি সরকার।

সম্প্রতি প্রশাসক নিয়োগের বিধান রেখে প্রণীত খসড়া কোম্পানি আইন (সংশোধিত) মন্ত্রিসভায় অনুমোদন লাভ করেছে। বিষয়টিকে আপনি কীভাবে দেখছেন?

আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী

মুক্তবাজার অর্থনীতিতে এটা মেনে নেয়া কঠিন, যা মানুষের মৌলিক অধিকারের ওপর প্রভাব ফেলবে। মুক্ত পরিবেশে মানুষ ব্যবসা করবে এবং তার ব্যবসার প্রসার ঘটাবে— কোম্পানি আইন এ স্পিরিটের বিপরীতে চলে যাচ্ছে। কোম্পানি আইনের ভেতর অনেক নিয়মকানুন রয়েছে; আছে জবাবদিহিতার প্রশ্ন। এরও কিছু কলাকৌশল রয়েছে। শেয়ারহোল্ডারদের অধিকার রয়েছে। বিভিন্ন সভার মাধ্যমে নিয়মকানুনের ভেতর দিয়ে কোম্পানি পরিচালনার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এসব কোম্পানিকে ন্যূনতম কিছু তথ্য জমা দিতে হয়। প্রতিটি ক্ষেত্রে জবাবদিহিতার ব্যবস্থা রয়েছে। বেসরকারি প্রতিষ্ঠান নিয়ন্ত্রণের জন্য বিভিন্ন আইন ও নিয়ন্ত্রক সংস্থা রয়েছে। ব্যাংকের জন্য ‘ব্যাংক কোম্পানি অ্যাক্ট’ আছে। অন্যান্য ব্যবসার জন্যও ভিন্ন ভিন্ন রেগুলেটরি বডি আছে। সর্বোপরি দেশে আইন আছে, রয়েছে বিচার বিভাগ। বিদ্যমান আইনেও যারা সন্তুষ্ট নন, তাদের জন্য বিচার বিভাগ আছে। বিদ্যমান কোম্পানি আইনের আওতায় সব ধরনের অনিয়মের বিচারের সুযোগ আছে। এর পরও কোম্পানিতে সরাসরি প্রশাসক বসিয়ে দেয়া— সরকারি নিয়ন্ত্রণের সর্বোচ্চ ব্যবহার বলেই মনে করি। এর অপব্যবহার হওয়ার সম্ভাবনাই অধিক। সাধারণ কোম্পানির নিরাপত্তার প্রশ্নও যুক্ত রয়েছে এর সঙ্গে। দেশী-বিদেশী সব বিনিয়োগকারীর ক্ষেত্রে হুমকি হয়ে দাঁড়াবে এটি। কোম্পানি আইন বিষয়ে উদ্যোক্তা ও বিনিয়োগকারীদের ব্যবসা-বাণিজ্য, ট্রেড কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের সুরক্ষার প্রশ্ন রয়ে গেছে। তারা এসব আইনকে আরও পরিষ্কার করতে বলছেন। সে ক্ষেত্রে আমরা চলছি উল্টো পথে। আমরা নিয়ন্ত্রণমূলক আইন নিয়ে আসছি। মানুষ নিয়ন্ত্রণ থেকে বেরিয়ে সংস্কারের মাধ্যমে উদারীকরণের দিকে যাচ্ছে; সেখানে আমরা আরও বেশি নিয়ন্ত্রণের দিকে যাচ্ছি। এটি সুফল দেবে না। কোম্পানিতে প্রশাসক নিয়োগের আরও খারাপ দিক হচ্ছে, সরাসরি সরকারের নিয়ন্ত্রণে এনে কোম্পানির নিজস্ব সত্ত্বা ধ্বংস করার চেষ্টা ছাড়া আর কিছুই নয় এটি। সরকার কোম্পানির নিজস্ব সত্ত্বা ধ্বংস করবে, এটা তো হতে পারে না। বিশ্বে কোথাও এমনটি নেই।

পদ্মা সেতু প্রকল্প নিয়ে বাংলাদেশ সরকার ও বিশ্বব্যাংকের মধ্যে টানাপড়েন চলছে অনেক দিন থেকে। বর্তমানে এটি একটি পর্যায়ে উপনীত হয়েছে। বর্তমান সরকারের মেয়াদে এ সেতুর নির্মাণ কাজ শুরু করা যাবে কি?

পদ্মা সেতু নির্মাণের শুরু থেকেই সমস্যা সৃষ্টি হয়। প্রথম থেকেই স্বচ্ছতা বজায় রাখা গেলে এ সমস্যায় পড়তে হতো না সরকারকে। এখনো পরিষ্কার করে কিছু বলা হচ্ছে না। বিশ্বব্যাংককে চিঠি দেয়া হচ্ছে, বিশ্বব্যাংকে সভা হচ্ছে, বিশ্বব্যাংকের প্রতিনিধি দল ঢাকায় আসছে। এখনো প্রকৃত অবস্থাটা পরিষ্কার নয়। বিশ্বব্যাংক অর্থ ছাড় করবে কি না, সেটিও স্পষ্ট নয়। তদন্তশেষে বলা যাবে কোন দিকে যাচ্ছে পদ্মা সেতুর ভাগ্য। সরকারের মাধ্যমে স্বচ্ছতা আসার কথা, সেটা আসছে না। দুদকের মাধ্যমে স্বচ্ছতা আসার কথা, সেটাও আসছে না। পদ্মা সেতু নিয়ে যে কাণ্ড হয়ে গেল, তা একটা দেশের সম্মান বাড়াতে পারে না। বিশ্বব্যাংক দুদকের কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করছে। পদ্মা সেতু প্রকল্পের সঙ্গে যারা সংশ্লিষ্ট ছিলেন, তাদের স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। এর কোনোটিই ভালো লক্ষণ নয়। পদ্মা সেতু প্রকল্প বাস্তবায়নের আগেই সরকার প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে পড়েছে, যারা এ সমস্যার সমাধান করবেন তারাই আজ প্রশ্নবিদ্ধ। সরকারের তদন্ত কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করতে বিশ্বব্যাংক অত্যন্ত শক্তিশালী প্রতিনিধি দল পাঠিয়েছে। বাংলাদেশের ইতিহাসে এমন ঘটনা আগে কখনো ঘটেনি। বিষয়টি আজ সবার জন্যই অসম্মানজনক হয়ে দাঁড়িয়েছে। যারা এর সঙ্গে জড়িত তাদের সবার শাস্তির ব্যবস্থা কেন করা হচ্ছে না? আমরা সবাই চাচ্ছি— পদ্মা সেতুটা হোক। এটি দেশের অবকাঠামো উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ এক প্রকল্প। পদ্মা সেতু একটি নয়, দুটি করতে হবে। দেশের ভেতর কানেক্টিভিটি জোরদার না করে দেশের বাইরের কানেক্টিভিটি নিয়ে তাড়াহুড়া করে লাভ নেই। সরকার দেশের বাইরের কানেক্টিভিটি নিয়ে এত ব্যস্ত হয়ে পড়েছে যে, দেশের ভেতরের কানেক্টিভিটির কথাই ভুলে গেছে! এখনো সময় আছে। সরকারের উচিত হবে স্বচ্ছতার সঙ্গে পদ্মা সেতুর বিষয়টি সুরাহা করা। এতে সবার মঙ্গল হবে।

শেয়ারবাজারের অস্বাভাবিক উত্থান-পতনে অনেক সাধারণ বিনিয়োগকারী ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। সরকার কিছু উদ্যোগ নেয়ার কথা বললেও আস্থা ফিরে আসেনি। কেন বারবার এমনটি ঘটছে? যেভাবে রেলওয়েগেট কেলেঙ্কারির সমাধান হয়নি, সেভাবে শেয়ারবাজার কেলেঙ্কারির সমাধান হয়নি, সমাধান হয়নি পদ্মা সেতু প্রকল্পের। একইভাবে হলমার্কের বিষয়ের সুরাহা হয়নি। হলমার্কের এমডি ও চেয়ারম্যানের কী পরিমাণ সম্পদ আছে, তারা মর্টগেজ হিসেবে যা জমা দিয়েছে, সেগুলোর সঠিক ভ্যালুয়েশন হয়েছে কি না— আমার জানা নেই। টাকা আত্মসাৎ করে কোথায় সরানো হয়েছে, সেটাও সরকারের জানার কথা। ঋণের বিপরীতে তারা যে মর্টগেজ দিয়েছে, তা বিক্রি করে এটি কাভার করা যাবে কি না প্রভৃতি বিষয় বিবেচনা করেনি ব্যাংক। এদের সঙ্গে আরও শক্তিশালী ব্যক্তি জড়িত আছেন কি না, খতিয়ে দেখা দরকার। আসলে সরকারি প্রভাব ছাড়া এত বড় কাজ করা সম্ভব নয়, যারা সরাসরি জড়িত ছিলেন তাদেরই শুধু বিচার হচ্ছে। এটা অবশ্যই দরকার আছে। কিন্তু এর পেছনে যাদের ভূমিকা ছিল, দুদক তো সেদিকে এগোচ্ছে না। প্রতিটি ক্ষেত্রে একটি জায়গায় গিয়ে থেমে যাচ্ছে সবকিছু। দেশে আইনশৃঙ্খলার অবনতি, অর্থনৈতিক দুরবস্থা, দুর্নীতি, ব্যাংকিং খাতে বিশৃঙ্খলা, শেয়ারবাজারে ধস, আর্থিক ব্যবস্থাপনায় সংকট— এ সবই সরকারের ব্যর্থতার ফলে সৃষ্ট। এসব ঘটনা দেশী-বিদেশী বিনিয়োগকারীদের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। এখান থেকে আমাদের বেরিয়ে আসতে হবে। শিগগিরই কিছু নতুন ব্যাংক বাংলাদেশে কার্যক্রম শুরু করতে যাচ্ছে। বর্তমান অবস্থায় এটা কতটা যৌক্তিক বলে মনে করেন? বিদ্যমান ব্যাংকগুলোই চলতে পারছে না, সেখানে নতুন ব্যাংক এলে বিপদে আরও বাড়বে। শুধু তারল্য সংকট নয়, সরকারের আর্থিক অব্যবস্থাপনার কারণে ব্যবসায়ী উদ্যোগগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এতে ঋণখেলাপির সংখ্যা আরও বাড়বে। বাংলাদেশে অনেক বড় বড় ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ঋণখেলাপি হয়ে যাচ্ছে। ঋণখেলাপির সংখ্যা বেড়ে গেলে তারল্য সংকট বাড়বে। ব্যাংক টাকা দেবে না। এতে কোম্পানিগুলো কিন্তু বিপদগ্রস্ত হচ্ছে। তারা বিপদগ্রস্ত হলে কয় দিন পর ব্যাংকের ব্যালান্স শিটও খারাপ হয়ে যাবে। দেশের উন্নয়নে এর নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। ব্যাংকের মতো ফিন্যান্সিয়াল সেক্টর বসে গেলে রিকভারি করার কেউ থাকবে না।

নির্বাচন কমিশন আপনাদের আলোচনার জন্য ডাকবে বলে জানিয়েছে। কিন্তু আপনারা যাবেন না বলছেন। কেন?

সব দলের অংশগ্রহণের মাধ্যমে একটি গ্রহণযোগ্য জাতীয় নির্বাচন বর্তমান কমিশন জাতিকে উপহার দিতে পারবে না। এটা নির্বাচন কমিশনের আওতায়ও পড়ে না। সরকার বলছে, সঠিক সময়ে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। কিন্তু কী প্রক্রিয়ায় নির্বাচন করবে? এটা কি নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে হবে নাকি বর্তমান সরকারের অধীনে? আগে এটা পরিষ্কার করতে হবে। আগামীতে নির্বাচন কীভাবে হবে, সে সিদ্ধান্ত সরকার একা নিতে পারে না। এটি বাংলাদেশের সর্বস্তরের মানুষের মতামত নিয়ে করতে হবে। সরকার সংখ্যাগরিষ্ঠ সংসদ সদস্যের জোরে এ ধরনের সিদ্ধান্ত নিতে পারে না। কারণ এটা সরকারের সিদ্ধান্ত নয়, এটা রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত। সবার মতামতের ওপর ভিত্তি করে তত্ত্বাবধায়ক সরকার আসবে, আবার যাবে। একতরফাভাবে এটা আসেনি, আবার একতরফাভাবে তা বাতিলও করা যাবে না। এ ব্যাপারে একক সিদ্ধান্ত নেয়ার রায় বাংলাদেশের মানুষ তাদের দেয়নি। আগামী দিনে বিএনপিকে কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে হবে। দলের মধ্যে নিতে হবে, নির্বাচনের ক্ষেত্রে নিতে হবে। পেছনের দিকে না তাকিয়ে সামনে অগ্রসর হতে হবে। ইতিহাস থেকে বেরিয়ে সামনে এগোতে হবে। সরকারের জনপ্রিয়তা কমে গেছে। জনগণ এখন সরকারের প্রতি ক্ষুব্ধ। জনবিরুদ্ধ নীতি, নৈরাজ্য, চাঁদাবাজি, দখল, লুটপাট, টেন্ডারবাজি, নিয়োগ বাণিজ্য, ভর্তি বাণিজ্য— এসব নিয়ে জনগণ স্বস্তিতে নেই। পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে, সামান্য একটা পিয়নের চাকরি নিয়েও লাখ টাকার নিয়োগ বাণিজ্য হচ্ছে। সরকারের দুর্নীতি ও চরম অব্যবস্থাপনার কারণে জনগণ ভীষণ ক্ষুব্ধ। জনগণ অপেক্ষা করছে ভোট দিয়ে সরকার পরিবর্তনের। তবে বর্তমান সরকার জনগণের চাওয়া অগ্রাহ্য করে যদি একদলীয় নির্বাচন করে ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য— বাংলাদেশের মানুষ সেটি গ্রহণ করবে না।

সুত্র:- দৈনিক বণিক বার্তা / সোমবার, নভেম্বর ১৯, ২০১২, অগ্রহায়ন ৫, ১৪১৯

আরো খবর ➔
লালাবাজারে নোংরা জলে ভোগান্তি!