ছবি : বিবিসি

করোনায় শনাক্ত ও মৃত্যুর রেকর্ড বাংলাদেশে

মহামারি কভিড-১৯ বাংলাদেশে আঘাত হানার পর থেকে একের পর এক রেকর্ড গড়েই যাচ্ছে। ৭জুলাই শনাক্ত রোগীর সংখ্যায় রেকর্ড হয়। এর আগের দিন শনাক্ত ও মৃত্যুর রেকর্ড করে কভিড-১৯। ৬জুলাই থেকে ৭জুলাই ২৪ ঘণ্টায় এ মহামারিতে শনাক্ত হয়েছেন ১১ হাজার ৫২৫ জন। কভিডে আক্রান্ত হয়ে আরও ১৬৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মোট মৃত্যু হয়েছে ১৫ হাজার ৩৯২ জনের। সবমিলিয়ে আক্রান্ত হয়েছেন ৯ লাখ ৬৬ হাজার ৪০৬ জন।

৭জুলাই বিকালে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

সংবাদ বিশ্লেষণে দেখা যায়, মৃত ১৬৩ জনের মধ্যে আছেন ৯৮ পুরুষ ও ৬৫ নারী। গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষায় শনাক্ত রোগীর হার ৩১ দশমিক ৪৬ শতাংশ। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্ত রোগীর হার ১৪ দশমিক ২২ শতাংশ এবং শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৮৭ দশমিক ৩৯। আর শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুর হার এক দশমিক ৫৯ শতাংশ।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ঢাকা সিটিসহ দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ও বাড়িতে উপসর্গবিহীন রোগীসহ গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন পাঁচ হাজার ৪৩৩ জন। এ পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন আট লাখ ৪৪ হাজার ৫১৫ জন। সারাদেশে সরকারি ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ৬০৫টি ল্যাবে নমুনা সংগ্রহ ও পরীক্ষা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে আরটি-পিসিআর ল্যাবে ১৩০টি, জিন এক্সপার্টে ৪৮টি ও র‌্যাপিড অ্যান্টিজেনে ৪২৭টি। এসব ল্যাবে ২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে ৩৮ হাজার ৩৯টি। মোট নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ৩৬ হাজার ৬৩১টি। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ৬৭ লাখ ৯৪ হাজার ৫১৫টি।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, ২৪ ঘণ্টায় মৃত ১৬৩ জনের মধ্যে রয়েছেন ঢাকা বিভাগে ৪৫ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ২৪, রাজশাহী বিভাগে ২৪, খুলনা বিভাগে ৪৬, বরিশাল বিভাগে ছয়, সিলেট বিভাগে দুই, রংপুর বিভাগে ১১ ও ময়মনসিংহ বিভাগে পাঁচজন।

মৃত রোগীদের বয়স বিশ্লেষণে দেখা যায়, ৬০ বছরের ঊর্ধ্বে ৯১, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে ২৯, ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে ২৭, ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে ১১ ও ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে পাঁচজন রয়েছেন।

এতে আরও জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশনে এসেছেন চার হাজার ৮৪ জন ও আইসোলেশন থেকে ছাড়া পেয়েছেন এক হাজার ৪২৬ জন। এ পর্যন্ত আইসোলেশনে এসেছেন এক লাখ ৯৯ হাজার ৬৪০ জন। আইসোলেশন থেকে ছাড়পত্র নিয়েছেন এক লাখ ৪৩ হাজার ৬৪০ জন। বর্তমানে আইসোলেশনে রয়েছেন ৫৬ হাজার ৪৬৫ জন।

এছাড়া গত সাত দিনে কভিডে আক্রান্ত হয়েছেন ৪৮ হাজার ১৪৭ জন। তাদের মধ্যে রয়েছেন গত ২৯ জুন সাত হাজার ৬৬৬, ৩০ জুন আট হাজার ৮২২, ১ জুলাই আট হাজার ৩০১, ২ জুলাই আট হাজার ৪৮৩, ৩ জুলাই ছয় হাজার ২১৪, ৪ জুলাই আট হাজার ৬৬১ ও ৫ জুলাই ৯ হাজার ৯৬৪ জন।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্যমতে, ২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে কভিড-১৯-এর প্রথম রোগী শনাক্ত হয়। এর ১০ দিন পর ১৮ মার্চ করোনায় আক্রান্ত হয়ে প্রথম একজনের মৃত্যু হয়। এরপর ধীরে ধীরে আক্রান্ত রোগীর হার বাড়তে থাকে।

আরো খবর ➔
বাংলাদেশে করোনায় শনাক্ত ও মৃত্যু ঊর্ধ্বমুখী