মাহবুব-উল আলম হানিফ বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী। চলমান সহিংসতা, রাজনৈতিক অস্থিরতাসহ নানা বিষয়ে তিনি কথা বলেছেন বণিক বার্তার প্রতিবেদক মিজানুর রহমান হেলালের সঙ্গে
মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারে দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর রায় ঘোষণার পর দেশে যে সহিংসতা সৃষ্টি হয়, তা নির্মূলে সরকারের পদক্ষেপ কি সঠিক ছিল বলে আপনি মনে করেন?
হানিফ- দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর বিরুদ্ধে যে ১৯টি অভিযোগ ছিল, তার আটটি সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হয়েছে। এতে আদালত তাকে সর্বোচ্চ শাস্তির রায় দিয়েছেন। এ রায়ের বিরুদ্ধে জামায়াতে ইসলামী ও তাদের সহযোগী সংগঠন ছাত্রশিবির সারা দেশে যে তাণ্ডব চালিয়েছে সেটি খুবই দুঃখজনক। এ তাণ্ডব বা নাশকতা কোনো রাজনৈতিক কর্মসূচি ছিল না। এটি ছিল সম্পূর্ণ সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড। তারা সরকারি সম্পদ নষ্ট-ধ্বংস করেছে, গাড়ি জ্বালিয়ে দিয়েছে, কোনো কারণ ছাড়াই সরকারি প্রতিষ্ঠান ভাংচুর করেছে, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ওপর রাস্তায় চোরাগোপ্তা হামলা করেছে। এমনকি পুলিশ ফাঁড়ির ওপর হামলা করে অস্ত্র লুট করার চেষ্টা করেছে। পুলিশ সদস্যদের নৃশংসভাবে কুপিয়ে-পিটিয়ে হত্যা করেছে। এ নাশকতা এবং সহিংসমূলক কর্মকাণ্ড প্রতিহত করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কিছুটা কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছে। ফলে হতাহতের ঘটনা ঘটেছে। প্রথমে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী অনেক ধৈর্য ধরে তাদের বুঝিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করার চেষ্টা করেছিল। কিন্তু জামায়াত-শিবির যেভাবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ওপর হামলে পড়ে তাতে নিজেদের জীবন, সরকারি সম্পদ ও জান-মাল রক্ষার্থে তারা বাধ্য হয়ে কঠোর আইনি পদক্ষেপ নেয়। সেদিক দিয়ে বলতে হবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর গৃহীত পদক্ষেপ যথার্থই ছিল। এ ধরনের সহিংসতা অন্যসব যুদ্ধাপরাধীর বিচারের ক্ষেত্রে প্রভাব ফেলতে পারে বলে অনেকেই ধারণা করছেন। আমি মনে করি, বাকি যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের ক্ষেত্রে এ ধরনের সহিংসতা কোনো প্রভাব ফেলবে না। কারণ সহিংসতা রোধে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ভবিষ্যতে আরো কঠোর পদক্ষেপ নেবে। এরই মধ্যে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছেন, পাড়া-মহল্লায় সন্ত্রাসী প্রতিরোধ কমিটি গঠন করতে। স্বাধীনতার পক্ষের সব শক্তিকে সঙ্গে নিয়ে এ কমিটি গঠন করা হবে। এ কমিটির প্রধান দায়িত্ব হবে, নিজ নিজ এলাকায় যেকোনো ধরনের সহিংসতা কিংবা নাশকতার তত্পরতা টের পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে অবহিত করা। যাতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সময়মতো যথাযথ পদক্ষেপ নিতে পারে।
সাম্প্রতিক রাজনৈতিক অস্থিরতাসহ সহিংসতা বন্ধে আপনার দলের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফ বিরোধী দলকে সংলাপে বসার যে আহ্বান জানিয়েছেন তা ফলপ্রসূ হবে কি?
দেখুন, দেশের যেকোনো সমস্যা সমাধানে আলোচনা-সংলাপের বিকল্প নেই। তবে এক্ষেত্রে প্রধান বিরোধী দল বিএনপিকে অবশ্যই যুদ্ধাপরাধীদের পক্ষ থেকে সরে আসতে হবে। পাশাপাশি যেসব সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালানো হচ্ছে তা থেকে বিরত থাকতে হবে। তবেই আলোচনা ফলপ্রসূ হবে। যুদ্ধাপরাধীদের সঙ্গে নিয়ে সহিংসতা চালালে তো আর আলোচনা ফলপ্রসূ হবে না।
সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য বিএনপি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের যে দাবি করে আসছে, সে প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের ভাবনা কী?
তত্ত্বাবধায়ক সরকারের ইস্যু নিয়ে বিরোধী দলের আন্দোলন করার কোনো যৌক্তিকতা নেই বা এটা নিয়ে আলোচনা করারও কোনো সুযোগ নেই। আমরা বারবার বলেছি, এ দেশের গণতন্ত্র ও সংবিধানকে সমুন্নত রাখতে আমাদের অনেক সংগ্রাম করতে হয়েছে। যে বিধান সংবিধানে নেই, সেই অসাংবিধানিক আইন নিয়ে আওয়ামী লীগ আলোচনা করতে রাজি নয়। বর্তমান সরকারের অধীনেই আগামী সংসদ নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু করা যেতে পারে। গণতান্ত্রিক সরকারব্যবস্থায় সবসময়ই নির্বাচিত সরকারের অধীনেই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। আমরাও সেটা করতে পারি। এটা নিয়ে তাদের যদি খুব বেশি সংশয় বা শঙ্কা থাকে, সেক্ষেত্রে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যে ‘অন্তর্বর্তীকালীন সরকার’ব্যবস্থার প্রস্তাব দিয়েছেন, সেটি নিয়ে আলোচনা হতে পারে। নির্বাচনকে অবাধ ও সুষ্ঠু করতে এর কাঠামো বা রূপরেখা নিয়ে বিরোধী দলের সঙ্গে আলোচনা করতে আমরা সবসময়ই প্রস্তুত।
বিএনপি বলছে, নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া তারা নির্বাচনে যাবে না। এর সমাধান হবে কীভাবে?
বিএনপি বলে আসছে— তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে না, এটা আসলে নির্বাচন-সম্পর্কিত কোনো বক্তব্য নয়; এটি তাদের কৌশল মাত্র। মূলত যুদ্ধাপরাধীদের বিচার প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত করা এবং বিরোধী দলের নেত্রীর দুই পুত্রের দুর্নীতির মামলা থেকে রক্ষা করতে রাজনৈতিক চাপ সৃষ্টি করার জন্য তত্ত্বাবধায়ক সরকার ইস্যু নিয়ে তারা মাঠে নেমেছে। মনে রাখতে হবে, এটি একটি রাজনৈতিক কৌশল মাত্র। আমাদের বিশ্বাস আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন যথাসময়েই হবে এবং সে নির্বাচনে বিএনপিও অংশগ্রহণ করবে। মাঝে এ ব্যাপারে একটি সংলাপের কথা উঠেছিল। এটি অতটা ব্যাখ্যা না করে কেবল বলতে পারি, নির্বাচনে বিরোধী দল বিএনপি অংশগ্রহণ করবে বলেই আমাদের বিশ্বাস।
শোনা যাচ্ছে, কোনো কোনো ইস্যুতে সরকার পশ্চিমা দেশগুলোর চাপে রয়েছে। এর সত্যতা কতটুকু?
যুদ্ধাপরাধের দায়ে অভিযুক্ত জামায়াতে ইসলামী নিষিদ্ধ করার জন্য বহির্বিশ্ব থেকে কোনো চাপ আসবে বলে মনে হয় না। কারণ যারা গণতন্ত্রে বিশ্বাসী, মানবতায় বিশ্বাসী, গণহত্যা ও নারী নির্যাতনের বিরোধিতাকারী, সর্বোপরি সুস্থ বিবেকসম্পন্ন কেউ যুদ্ধাপরাধীদের পক্ষ নিয়ে আমাদের ওপর চাপ সৃষ্টি করবে— এটা বিশ্বাসযোগ্য নয়। পশ্চিমা বিশ্বের যাদের কথাই বলা হোক না কেন, কেউ এ বিষয়ে সরকারকে চাপ দেবে— এটা প্রত্যাশা করি না।
কাদের মোল্লার রায়কে ঘিরে শাহবাগে সংঘটিত আন্দোলনকে রাজনৈতিক দল হিসেবে আওয়ামী লীগ কীভাবে তা বিশ্লেষণ করছে?
আওয়ামী লীগ সবসময়ই চায় মুক্তিযুদ্ধের চেতনা প্রতিষ্ঠিত হোক। যে চেতনা ও আদর্শ নিয়ে আমরা ১৯৭১ সালে যুদ্ধ করেছিলাম, নয় মাসের যুদ্ধে ৩০ লাখ প্রাণ ও দুই লাখ মা-বোনের সম্ভ্রমের বিনিময়ে দেশ স্বাধীন করেছিলাম, সেই স্বাধীনতার চেতনাকে ভূলুণ্ঠিত করা হয়েছিল ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মধ্য দিয়ে। এর পরবর্তী পর্যায়ে মুক্তিযুদ্ধে বিরোধিতাকারীদের কেবল রাজনৈতিকভাবেই প্রতিষ্ঠা করা হয়নি, রাষ্ট্রীয়ভাবেও তাদের প্রতিষ্ঠিত করা হয়েছিল। মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে এক প্রকার ধ্বংস করে দেয়া হয়েছিল। নতুন প্রজন্ম সে চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে আজ আন্দোলন করছে। আওয়ামী লীগ ও স্বাধীনতার সপক্ষের সব দলই এ আন্দোলনকে স্বাগত জানাচ্ছে। আমাদের চাওয়া নতুন প্রজন্মের মাধ্যমে সারা দেশের মানুষের মধ্যে এ চেতনা ছড়িয়ে পড়ুক। এ
মন আন্দোলন দানা বাঁধার পেছনে কী কারণ কাজ করেছে বলে আপনি মনে করেন?
জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সঠিক ইতিহাস তুলে ধরার জন্য নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে, বই-পুস্তক বা এ ধরনের বিভিন্ন ডকুমেন্টস থেকেও নতুন প্রজন্ম প্রকৃত ইতিহাস জেনেছে। বঙ্গবন্ধুর মৃত্যুর পর এত দিন ইতিহাসকে বিকৃত করা হয়েছিল। ভুল বা মিথ্যা ইতিহাস দিয়ে স্বাধীনতার চেতনা থেকে মানুষকে দূরে রাখার চেষ্টা করা হয়েছিল। আজ নতুন প্রজন্ম মূল ইতিহাস জানতে পেরেই তাদের মধ্যে স্বাধীনতার চেতনা জাগ্রত হয়েছে বলেই এ গণবিস্ফোরণ বা গণজাগরণ সৃষ্টি হয়েছে।
বাংলাদেশের রাজনীতিতে এ আন্দোলন কী ধরনের প্রভাব বিস্তার করতে পারে বলে মনে করছেন?
স্বাধীনতা যুদ্ধের বিরোধিতাকারী অর্থাত্ রাজাকার, আলবদর, আলশামস গঠন করে যারা ৩০ লক্ষ শহীদের হত্যার পেছনে মুখ্য ভূমিকা পালন করেছিল, যারা আমাদের মা-বোনের ওপর পাশবিক নির্যাতন, লুটপাট, ঘরবাড়িতে অগ্নিসংযোগে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত ও ভূমিকা রেখেছিল; তাদের বিচার এবং বিচারের মাধ্যমে শাস্তি হোক— এটা নতুন প্রজন্মের দাবি ও প্রত্যাশা। সে প্রত্যাশা পূরণে সরকার কাজ করে যাচ্ছে। আশা করি, আমরা তাদের সে প্রত্যাশা পূরণ করতে পারব।
জনমনে প্রশ্ন রয়েছে, শাহবাগের আন্দোলন থেকে আওয়ামী লীগ রাজনৈতিক ফায়দা লাভ করছে?
এ আন্দোলন আমাদের সৃষ্ট নয়। মনে রাখতে হবে, এটা তরুণ প্রজন্মের আন্দোলন। ফলে যারা এ আন্দোলন সৃষ্টি করেছে, তারাই ভালো করে জানে কখন এর পরিসমাপ্তি ঘটবে। আমরা চাইলেও তো এটা জাগিয়ে রাখতে পারব না। আমরা নির্বাচনের আগে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করা হবে। সে বিচারকার্য শুরু হয়েছে। অনেক বাধা-বিপত্তির মধ্যেও বিচার প্রক্রিয়া এগিয়ে যাচ্ছে। আশা করি, এ সরকারের মেয়াদকালের মধ্যেই সেটি শেষ হবে এবং বিচারের রায়ও কার্যকর হবে। বিশেষ করে যেসব যুদ্ধাপরাধী গ্রেফতার আছে, আশা করছি তাদের বিচারকাজ আমরা শেষ করতে সক্ষম হব এবং বিচারের রায়ও কার্যকর করে যেতে পারব।
জামায়াত-শিবিরের রাজনীতি নিষিদ্ধের দাবি উঠেছে। সরকার কী পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছে। ধর্মভিত্তিক দল নিষিদ্ধের কোনো চিন্তা কি সরকারের আছে?
তরুণ প্রজন্ম যে দাবি করেছে— যুদ্ধাপরাধী দল হিসেবে জামায়াতকে নিষিদ্ধ করার জন্য। আমরা মনে করি, ১৯৭১ সালে জামায়াতে ইসলামী রাজনৈতিকভাবে আলবদর, আলশামস বাহিনী গঠন করে মুক্তিযুদ্ধে বিরোধিতা করেছিল, একই সঙ্গে হত্যাযজ্ঞ ও নারী নির্যাতনে সরাসরি ভূমিকা রেখেছিল। ফলে রাজনৈতিক দল হিসেবেই জামায়াতে ইসলামী যুদ্ধাপরাধের দায়ে অভিযুক্ত। কাজেই রাজনৈতিক দল হিসেবে তারা নিষিদ্ধ হোক— এটা আমরাও চাই। আমরা সবসময় বলে এসেছি, একটি দলকে নিষিদ্ধ করতে জাতীয় ঐক্য ও জনমত প্রয়োজন। কেবল সংসদে সংখ্যাগরিষ্ঠতার সমর্থনে আইন করে এটি নিষিদ্ধ করা যায় না। দেশের বর্তমান প্রধান বিরোধী দল বিএনপি তাদের কেবল রাজনৈতিকভাবে প্রতিষ্ঠিত করেনি, এখনো যুদ্ধাপরাধীদের বিচার প্রক্রিয়া বন্ধ করতে নানা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছে। যুদ্ধাপরাধীদের রক্ষা করতে নানা অপতত্পরতা চালিয়ে যাচ্ছে। এসব কারণে যুদ্ধাপরাধীদের দল জামায়াতকে নিষিদ্ধ করা এত দিন কঠিনই ছিল। তরুণ প্রজন্মের এ আন্দোলনের ফলে দেশের মানুষের একটি বড় অংশের মধ্যে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার আবেগ সৃষ্টি হয়েছে। ফলে অনেকে এখন জামায়াতকে নিষিদ্ধ দেখতে চান। এরই মধ্যে আইনমন্ত্রী বলেছেন, কোন পন্থায় নিষিদ্ধ করা যায়; সে আইনি বিষয়গুলো খতিয়ে দেখা হচ্ছে। আশা করি, বর্তমান সরকারের মেয়াদকালেই তাদের নিষিদ্ধ করা হবে।
আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির আরো অবনতির শঙ্কা ব্যক্ত করা হচ্ছে বিভিন্ন মহল থেকে। এ বিষয়ে সরকারের প্রস্তুতি কেমন বলে মনে করেন?
আমাদের মতো জনবহুল দেশে ছোটখাটো অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড ঘটানো খুব সহজ ব্যাপার। পৃথিবীর অনেক উন্নত দেশ, এমনকি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মতো উন্নত ও আধুনিক দেশে প্রায়ই মারাত্মক অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড ঘটে থাকে। গত বছরের শেষের দিকে দেখেছি, একটি স্কুলে প্রায় ২৭ জন বাচ্চাকে গুলি করে মারা হয়েছে, কিছু দিন আগেও সিনেমা হলে গুলি করে হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়েছে। ফলে পরিকল্পিতভাবে আইনশৃঙ্খলার অবনতি ঘটাতে বা নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড করতে চাইলে তা ঠেকানো খুব কঠিন ব্যাপার। তার পরও মনে করি, দেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তাদের দক্ষতা ও আন্তরিকতা দিয়ে অন্যান্য যেকোনো দেশের তুলনায় দেশকে অনেক ভালো রেখেছে। আগামীতেও তারা তাদের দক্ষতা ও পেশাদারিত্ব বজায় রেখে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় নিয়োজিত থাকবে নিশ্চয়।
সুত্র:- দৈনিক বণিক বার্তা / বুধবার, মার্চ ১৩, ২০১৩, ফাল্গুন ২৯, ১৪১৯